অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯হাজার ৪শ’ ৫০। জানালেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, জেএসসি ও জেডিসিতে ৯ হাজার ৪শ’ ৫০ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করলেও ২৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের হার শূন্য। যা গেলো বছরে ছিল ৪৩ টি। অন্যদিকে গেলোবার শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫শ ৮৩। কিন্তু এ বছর ৮শ’ ৬৭ টি বেড়েছে।
২০১৬ সালে জেএসসি-জেডিসিতে গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। গেলো বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে ছিল ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
দু’টি পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫শ’ ৮৮ পরীক্ষার্থী। গেলো বছর ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার ২শ’ ৬৩ জন। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৫১ হাজার ৩ ’ ২৫ জন।
ষষ্ঠবারের মতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯শ’ ৫৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৯ ‘ ৭৫। পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা গেলো বারের চেয়ে ৮৫ হাজার ৮শ’ ৯৩ জন বেশি।
৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে জেডিসিতে ৯৪ দশমিক ০২ শতাংশ। গেলো বছর জেএসসিতে ৯২ দশমিক ৩১ ও জেডিসিতে ছিলো ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৬সালে জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯ জন। যা গেলো বছরের তুলনায় (২০১৫তে ছিল এক লাখ ৮৭ হাজার ৫শ’ ২) ৪৭ হাজার ৫শ’ ৫৭ জন বেশি।
জেডিসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৫শ’ ২৯। গেলো বছরের (২০১৫ এ ছিল আট হাজার ৭৬১ জন) তুলনায় ৩ হাজার ৭শ’ ৬৮ জন বেশি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার দুই পরীক্ষায় মোট ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯শ’ ৫৯ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৯শ; ৭৫ জন। এরমধ্যে জেএসসিতে ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩শ’ ১৬ জন। পাস করেছে ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৪শ’ ৯৬ জন। জেডিসিতে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬শ’ ৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১শ’ ৯০ জন
এইচটি/এমসি